রবিনসন স্ট্রীটের ছায়া কি শ্রীরামপুরে ? মায়ের পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার ঘর থেকে : মেয়েকে পাঠানো হল চিকিৎসাকেন্দ্রে

2nd August 2020 5:14 pm হুগলী
রবিনসন স্ট্রীটের ছায়া কি শ্রীরামপুরে ? মায়ের পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার ঘর থেকে : মেয়েকে পাঠানো হল চিকিৎসাকেন্দ্রে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : হুগলীর জেলার শ্রীরামপুরে চাতরা বাজার রোডে চার মন্দিরের কাছে একটি বাড়ি থেকে সুষমা রায় নামে এক বৃদ্ধার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করলো শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোয় স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেয় পুলিশে।পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে ওই বৃদ্ধার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে।মৃতদেহের পাশে দেখা যায় মৃতার মেয়ে সোনালী রায় বসে আছে।পুলিশের প্রাথমিক অনুমান চার পাঁচদিন আগে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।তার মেয়েও অসুস্থ। মৃতার মেয়েকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । এই ঘটনায় খবর জানাজানি হতেই  চাঞ্চল্য ছড়ায় শ্রীরামপুর এলাকায়। স্থানীয় সুুত্রে জানা গেছে গত চার পাঁচ দিন ধরে বাড়ির কাউকে দেখা যাচ্ছিলো না । দরজা, জানালা বন্ধ। দুদিন ধরে পচা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পরে স্থানীয় বিদায়ী কাউন্সিলাকে খবর দেওয়া হয়। তিনি এসে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। বিদায়ী কাউন্সিলার পাপ্পু সিং জানান চাতরা এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দরা ফোন করে বলে একটা বাড়ি থেকে পচা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমি পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে শাবল দিয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখতে পায় খাটের মধ্যে এক জন বয়স্ক বৃদ্ধার পচা গলা মৃতদেহ পড়ে আছে। পাশেই বাথরুমে মেয়ে পড়ে আছে। মেয়ে আর মা দুজনে থাকতো বলে জানা যায়। মৃতদেহ দেখে মনে হচ্ছে বেশ কয়েক দিন আগে মারা গেছে। পুলিশ মৃত দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতের মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ওয়ালস্ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। মারা গেলেও মেয়ে কি তা বুঝতে পারেনি ? কাউকে তিনি খবর কি দিয়েছিলেন ? পচা গন্ধ বের হলেও এক ই ঘরে তিনি ছিলেন কি করে ? এসব প্রশ্ন ও ঘুরপাক খাচ্ছে । সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।